দেশের চলমান ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট আরও বিপজ্জনক হতে পারে: জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: Kanak Sarwarপ্রকাশ: রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ এ ১১:৪৮ AM

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশে এখন ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সামনে এই অর্থনৈতিক সংকট আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় রংপুর সফরে এসে সাকির্ট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, স্বাভাবিকভাবে তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমান রিজার্ভ থাকার কথা। সে হিসাবে আমাদের দেশে এখন রিজার্ব ডলার থাকার কথা ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন। এখন আছে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারও নেই, ১১ বিলিয়ন ডলার আছে কিনা সন্দেহ। এই অবস্থায় প্রতিদিনই কমে যাচ্ছে টাকার মূল্যায়ন। মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির কারণে দ্রব্য মূল্যর দর বাড়ছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ আইন করলেও রাইট টু ইনফরমেশন বলতে এখন কোনো কিছু নেই। কোনো খবরা খবর দেওয়া হচ্ছে না। সব গোপন রাখা হচ্ছে। যে তথ্যই চাওয়া হয়, সেটাই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্বার জন্য হুমকি স্বরূপ। সংবিধানের ১৪৫(ক) ধারায় বলা হয়েছে, আমরা বিদেশের সঙ্গে যে চুক্তিই করি না কেন। সেটা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত যত বিদেশি চুক্তি হয়েছে হাজার হাজার চুক্তি হয়েছে। কোনো চুক্তিই আমাদের সংসদে প্লেস করা হচ্ছে না। সংবিধান মানা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে সরকারের নিষেধাজ্ঞা ঠিক না। বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণের সম্পদ। এই সম্পদ সরকার ঠিকঠাকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করছে কিনা, সেই বিষয়ে জনগণকে জানতে হবে। জনগণ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে। আমাদের দেশে বিনিয়োগ আসছে না। আমরা যে পরিমাণ খরচ করছি তার থেকে অনেক কম প্রবেশ করছে। আমরা কি কষ্ট করছি, আগামীতে আরও কি হবে এগুলো সবাইকে জানাতে হবে। সরকার এগুলো গোপন করছে। গোপন করার অর্থ আপনারা জনগণের স্বার্থবিরোধী কিছু করছেন। না জানানো টাও অপরাধ। প্রতিদিন ডলারের দাম বেড়েই চলছে। টাকা দিয়ে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো টিকিট বিক্রি করে তাদের দেশে টাকা নিতে পারছে না ডলারের অভাবে বিনিয়োগ কমবে কেন। এই অবস্থার সৃষ্টি হলো কেন ৪০-৪৫ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ হঠাৎ জিরো হলো কেন। এই রিজার্ভ কই গেল। ইমপোর্ট করতেই পারছে না সরকার। মিল ফ্যাক্টরিগুলো চলতে পারছে না। মানুষ বেকার হয়ে যাচ্ছে। অসহনীয় পরিবেশ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু আমরা মুক্তি দেখতে পারছি না।
জিএম কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু সফরে এসে বলল আমেরিকান অনেক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করছে কিন্তু তারা প্রফিট নিয়ে যেতে পারছে না দেশে। এসব কারণে এ দেশে কেউ আর বিনিয়োগ করতে চাইবে না। তা ছাড়া এ সরকার প্রচুর লুটপাট করছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসে লুটপাট হয়েছে। বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। যার কারণে আজকের এই অবস্থা।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের অনেক কথাই বলছেন। আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি। আওয়ামী লীগ বলছে তারা অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আসলে এই শক্তি কি দানবীয় শক্তি না শুভ শক্তি। দানবীয় শক্তি যদি হয় তা আমরা পছন্দ করি না। জনগণও পছন্দ করে না। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈশিষ্ট হারিয়েছে। দল হিসেবে তারা রাজনৈতিক এজেন্ডা হারিয়েছে। এখন তারা কিছু পেশাজীবী আর সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে দল। আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের কথা ভাবত। মানুষ আওয়ামী লীগের ছায়াতলে বিশ্রাম নিতে পারত। এখন আর পারে না। হাস্যকর ও অপ্রয়োজনীয় কিছু করছে যার কারণে আওয়ামী লীগ এখন দেশের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলা উদ্দিন মিয়া, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় সদস্য লোকমান হোসেন।
Related News

কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ার মহান স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে জামায়াত -ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের দুর্বল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোন ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সংগঠনের কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ দ্বীনকে বিজয়ী করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমাদের দাওয়াত হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে এক রব এবং রাসুলকে (সা) আমাদের নেতা মানার দাওয়াত। কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে বাংলাদেশে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান স্বপ্ন নিয়ে জামায়াত কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই কাজে একদিন সফল হব।’
সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত থানা ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির-২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দায়িত্বশীলদের অনুপ্রেরণা প্রদান করে টিমস্পিরিটের মাধ্যমে সকলকে নিয়ে সংগঠনকে আরো মজবুত করতে হবে। সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ড অর্থাৎ স্থানীয় কার্যক্রম যত বেশি শক্তিশালী হবে, সামগ্রিকভাবে মহানগরী ও কেন্দ্রীয় সংগঠন ততো সুদৃঢ় হবে। যেখানে যত বেশি বিপর্যয় এসেছে সেখানে দ্বীনের দাওয়াত আরো ব্যাপকতর হয়েছে। ফলে কোনো ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক বাঁধা দেখে ভয় পাওয়া বা হতাশ হওয়া অথবা কাজ কমিয়ে দেয়া ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য উচিৎ নয়।’
তিনি বলেন, ‘মানবজীবনের এমন কোনো সমস্যা নেই যার সমাধান ইসলামে দেয়া হয়নি। মানবজাতির জন্য সব ধরনের সমস্যার সমাধান হলো আল কুরআন। আমাদের প্রত্যেককে পবিত্র কুরআনের বিধান অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে সাজাতে হবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন বেশি বেশি কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা দরকার। একই সাথে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে। তাহলেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘যোগ্যতা যাদের আছে আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্ব তাদের হাতেই দেন। এটাই আল্লাহর বিধান। নিজেদেরকে জনগণের খেদমতের জন্য তৈরি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে আমাদেরকে সংগঠন মজবুতির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখবেন, সংগঠন মজবুত থাকলে যেকোনো সময়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব। পাশাপাশি এই সেশনে সকল বিভাগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকল নেতাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কেউ কি অবাধে ঢুকতে পারছে? কেন ঢুকবে? ওয়েবসাইটে সব আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাকে কে বললো ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’- সাংবাদিকদের এমন উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাকে কোন নিউজে বলছে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। এসময় সাংবাদিকরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন- ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, গভর্নর কে তাহলে জিজ্ঞেস করুন, কী কারণে এই পর্যায়ে এলো এটা? এটা তো আমরা জানি না। আমরা জানি, ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ডলার ছিল? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে? ৩ বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে, এটা কী কম নাকি? রপ্তানি আয় এখন আমাদের বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের যে প্রবণতা। এগুলো বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে
পল্টন থানার নাশকতার মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গেলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব দরকার: ওবায়দুল কাদের
Advertisement
নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের বন্ধু। এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। আমরা কারও দাসত্ব করি না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী সড়কে আয়োজিত আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বিএনপি যে শত্রুতা করেছিল, তাতে লাভ হয়নি। শত্রুতার কারণে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস জন্মেছিল। শেখ হাসিনা সব সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছেন। ভারত এখন আমাদের বন্ধু।’
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা হঠাৎ চাঙা হয়ে গেছেন। এর কারণ ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারা আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। লু আসছেন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্নপূরণের জন্য নয়।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তৃতাকে ‘মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর কোথায় ছিলেন এত দিন? কোথা থেকে এলেন, কোথায় পালিয়ে ছিলেন? মাথায় তো দেখি গান্ধী টুপি। বিএনপি এখন ভণ্ডামি শুরু করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দালালি কারা করে, সেটা সবার জানা। মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নির্বাচিত হওয়ার দিন, সকালে বন্ধের দিন দূতাবাসে বিএনপির নেতারা ফুল, মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিল। তাহলে দালাল কারা? খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানিবণ্টনের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। দেশে ফেরার পর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি তিনি নাকি ভুলেই গিয়েছিলেন। তাহলে দালাল কারা?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দেখলাম, তারা হাসিখুসি। ভারতের আপ্যায়নে, ডিনার খেয়ে বিএনপি নেতারা হাসিখুশি ছিল। ক্ষমতার স্বপ্নেও বিভোর ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তো ৪২ শতাংশ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় বসিয়েছে। তিনি বলেন, এখন বিএনপি বলছে, জনগণ উপজেলা নির্বাচন নাকি প্রত্যাহার করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার, যারা ভোট দিল, তারা কারা? আসলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সততায়, উন্নয়নে এবং অর্জনে মুগ্ধ। তাই দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই বেছে নিচ্ছে৷’
বিএনপি নানা সময় নানা নাটক করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসময় জজ মিয়ার নাটক করল, নির্বাচনের আগে করল মিয়া আরেফির নাটক। তিনি বলেন, আবারও বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে। জনগণের জানমাল সুরক্ষায়, অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে। প্রস্তুত থাকেন, এমন শিক্ষা দেব, পালাতে পালাতে অলিগিলি পার হয়ে বুড়িগঙ্গার পচা পানি খাবে।
বর্তমানে বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে দেশে চলমান কিছু সাময়িক সংকট দ্রুত কেটে যাবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান প্রমুখ।
