কয়েকজন বিমান বাহিনী অফিসারের বক্তব্যে একজন সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে
“যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সুপারভিশনের ঘাটতির জন্যই মাইলস্টোনে যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে!
প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরকে একক ফ্লাইটে পাঠানো হয়েছিল! তৌকিরের বেইজ 35 Squadron বিমান বাহিনীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেইজ হলেও এই বেইজের বেইজ কমান্ডার নাই। চরম অব্যবস্থাপনা খামখেয়ালির ফলাফল এতগুলি বাচ্চার জীবন। এছাড়া বিমান বাহিনী প্রধান, উপ-বিমানবাহিনী প্রধান (অপারেশন) দুজনই ছিল দেশের বাইরে।
35 Squadron এর OC কে কক্সবাজারে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। গত প্রায় চার মাসেও একজন অফিসার কমান্ডিং (OC) নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একজন দুর্বল পাইলট-উইং কমান্ডার দিয়েচলছে গুরুত্বপূর্ণ 35 স্কোয়াড্রন !
এই সব কিছুর মূলে দুর্নীতিবাজ এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ এয়ার চীফ হাসানের স্বেচ্ছাচারিতা!
সাবেক চীফ মশিহুজ্জামানের সময় এই চীফকে কক্সবাজার বেস থেকে দুর্নীতির দায়ে স্টাফ কলেজে শাস্তিমূলক পোস্টিং দেয়া হয়। কিন্তু হান্নান চীফ হওয়ার পর তার চুরির সুবিধার জন্য তাকে আবার বিমান বাহিনীতে ফিরিয়ে আনে।
চীফ হতে হাসান মাহমুদ খানকে বিশাল অংকের টাকা দিতে হয়েছে। সাবেক একজন ‘এয়ারভাইস মার্শালের’ মতে তারেক সিদ্দিককে দেয়ার মত হাসানের এত টাকা ছিল না ! কিন্তু হাসানের হয়ে প্লেন, হেলিকপ্টার কন্ট্রাকটাররা টাকাটা দিয়ে দেয় শর্ত থাকে যে তারা সাপ্লাইয়ের কাজ পাবে ভবিষ্যতে!
বর্তমান চীফ যে কতবড় ইতর-প্রতিহিংসাপরায়ণ আর চোর তা বর্তমান বিমান বাহিনীর হাতে গোনা কয়েকজন বাদে সবাই স্বীকার করবেন।
তার নালায়েকির জন্য এতগুলি বাচ্চার প্রাণ গেল !
হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে সে করে নাই এমন কিছু নাই। তারিক সিদ্দিকের ভাইজি জামাই এয়ার কমোডর রাহিম এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করছে?!যোগ্যতা, মেধা কিংবা দক্ষতা নয় সে এখনো তারেক সিদ্দিকের নির্দেশনাতেই চলছে বিমান বাহিনীর বদলি- পদোন্নতি- সুযোগ? আর চরম অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতি চলছে হাসিনা আমলের চেয়ে ও ভয়ংকর ভাবে । এখন হাসিনা বা তার পরিবারকে ভাগ দিতে হয়না তাই লুটের ভাগ পুরোটাই ঢুকছে চীফের সিন্দুকে ।
অনেকদিন থেকেই যুদ্ধের যে একটা প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ এগুলোর উপর থেকে এই বাহিনীর ফোকাস উঠে গেছে।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের মতো পর্যাপ্ত ট্রেনিং ছাড়াই সাবেক চিফ হান্নানের সময়ও স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ ঝুঁকি পূর্ণ ‘টপগান স্টান্ট’ করতে যেয়ে কর্ণফুলীতে প্লেন ক্রাশ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।সে অ্যারোবেটিকস করতে যেয়ে বেশি নিচে নামার কারণে গ্রাউন্ডে আঘাত লাগে। এটা পাইলট তেমন করে বুঝতে পারার কথা না কিন্তু যারা নিচের থেকে পরিচালনা করে তারা তাকে ওয়ার্ন করার কথা ছিল। কিন্তু দায়িত্ব গুলি কেউ ঠিকমত পালন করে নাই। সে ঘটনারও কোন বিচার বা যথাযথ তদন্ত হয়নি। শুধু জাওয়াদ কে মহান হিরো বানিয়ে নানা আচার-অনুষ্ঠানে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।এবারেও দুর্ঘটনায় দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য পাইলটের আত্মত্যাগ কে তুলে ধরা হয়েছে। আসীম জাওয়াদের সময়ও একই জিনিস করা হয়েছিল!
মাইলস্টোনের ঘটনায় একজন দুর্বল লোককে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। ডিআই (ডিরেক্টর ইন্টেলিজেন্স)কে বলা হয়েছে মিডিয়া কন্ট্রোল করতে।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত দরকার। এরা তো নিজেদের তদন্ত সঠিকভাবে করবে না। হাসিনার দুর্নীতি বলে এখন সবাই পার পেয়ে যাচ্ছে।”
(কয়েকজন বিমান বাহিনী অফিসারের বক্তব্যে একজন সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে)
(এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে ইমেইল করুন kanaksarwarNEWS@gmail.com -এই ঠিকানায়)