সাবেক মেয়র স্ট্রিংগারের মেয়র নির্বাচনের প্রচারণা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক: Kanak Sarwarপ্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ এ ১২:০০ AM

নিউইয়র্ক সিটির প্রাক্তন কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিংগার ২০২৫ মেয়র নির্বাচনের জন্য লড়বেন। ইতিমধ্যেই লড়ার জন্য নির্বাচনী ফান্ড গ্রহণ শুরু করেছেন। গত ১৫ জুলাই সোমবার ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রায় ২.১ মিলিয়ন ডলার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করেছেন। স্ট্রিংগার প্রায় ২ হাজার ১০০ জন দাতার কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার অনুদান পেয়েছেন বলে তার নির্বাচনী প্রচারণা অফিস জানিয়েছে। ১ হাজার ৮০০ দাতার গড় অনুদানের পরিমাণ ছিল ১৫৭ ডলার। এর প্রায় ১ হাজার ৮০০ দাতা ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা, যাদের অনুদান শহরের ম্যাচিং তহবিল প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য। নিউইয়র্ক সিটি বাসিন্দাদের কাছ থেকে ছোট অনুদানের (২৫০ ডলার পর্যন্ত) ৮ থেকে ১ ম্যাচিং ফান্ড প্রদান করে। স্ট্রিংগার প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য অনুদানে প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ডলার পেয়েছে।
এক প্রেস কনফারেন্স স্কট স্ট্রিংগার বলেন, আমি মনে করি এটি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। কারণ আমরা শুরুতেই জানতাম যে, আমাদের আর্থিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে এবং আমি মনে করি এটি একটি দুর্দান্ত শুরু। আমি এই আর্থিক ফাইলিং নিয়ে খুব সন্তুষ্ট এবং আমরা যেভাবে এটি নিয়ে গিয়েছিলাম তাতেও সন্তুষ্ট। আমরা পাঁচটি বরোতে নিউইয়র্ক সিটির মানুষের সঙ্গে বসে কথা বলতে সক্ষম হয়েছি। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে দুর্দান্ত আলোচনা করতে পেরেছি এবং বড় ছোট ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি।
স্ট্রিংগার ২০২১ সালে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং হেরেছিলেন। স্ট্রিংগার শিগগিরই মেয়র পদে লড়বেন কি না সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তিনি ঘোষণা দেবেন।
বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস ইতিমধ্যে স্ট্রিংগার এবং মাইরির চেয়ে বেশি ফান্ড সংগ্রহ করেছেন। অ্যাডামস প্রচারাভিযানের আইনজীবী ভিটো পিট্টা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মেয়রের প্রচারাভিযান নিউইয়র্কবাসীদের কাছ থেকে জোরালো সমর্থন পাচ্ছেন। গত ছয় মাসে ২ মিলিয়নেরও বেশি ফান্ড সংগ্রহ করেছেন। তার নির্বাচনের জন্য ৮ মিলিয়ন ডলারের বেশি ফান্ড রয়েছে।
Related News

চাঁদা না পেয়ে বাফেলোতে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক র বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাফেলোর ইস্ট ফেরি ও জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনি (৫৩) ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া (৫০)। হত্যাকাণ্ডের সময় শহরের পূর্বাঞ্চলে হ্যাজেলউড এলাকায় জনি ও বাবুল বাড়ি সংস্কারের কাজ করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনি ও বাবুল বাড়ি সংস্কারের কাজ করার সময় এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এসে তাদের কাছ থেকে অর্থ (চাঁদা) দাবি করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক বাবুল মিয়াকে চুরিকাঘাত করে। বাবুল মিয়াকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউছুপ। আবু সালেহকে এগিয়ে আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে দুই জন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ দু’জনের লাশ স্থানীয় ইসিএমসি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

পুলিশের টহল বৃদ্ধি ও মোবাইল পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবিতে ওজনপার্কে র্যালি
সম্প্রতি ওজনপার্কে ঘটে যাওয়া দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। সবাই অজানা আশংকায় দিনাতিপাত করছেন। রাতে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল তা এখন দিনের বেলায়ও দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় কমিউনিটির নিরাপত্তা, পুলিশের টহল বাড়ানো, পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সিটি লাইন ওজনপার্ক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৭ মে ওজনপার্কে ড্রিউ স্ট্রিটের কর্নারে বাংলাদেশ ওয়েতে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুন নুর এবং পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম খোকন। সমাবেশে এলাকার মানুষের বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে নিরাপদ জীবন যাপন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সবার কাম্য। বক্তারা তাদের বলেন, ১৩ মে ওজনপার্কে জারা লাইফ স্টাইল দোকানে সন্ধ্যার সময় ডাকাতি, সম্প্রতি সময়ে ছিনতাই জনগণের মধ্যে আতঙ্ক, নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তারা আরো বলেন, অনেক সময় ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশে কল দেওয়ার পর পুলিশের অসহযোগিতা লক্ষ করা যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই এলাকা দায়িত্ব তাদের নয়। শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হলেও কিছু দিনের মধ্যে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধীরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে যায় এবং আবারও অপরাধ শুরু করে। এই প্রেক্ষাপটে ওজনপার্কবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে সিটি লাইন ওজনপার্কে পুলিশের ভ্রাম্যমান ক্যাস্প, পুলিশের টহল বৃদ্ধি, অন্ধকার স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি। এই দাবিগুলো আবারও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থাপন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ডিস্ট্রিক্ট ৩২-এর কাউন্সিলওম্যান জুয়ান এরিওয়ালা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দাবির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, আপনাদের এসব দাবি আমি সিটি কাউন্সিলে তুলে ধরবো। তিনি আরো বলেন, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে আমার এলাকার মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, বর্তমান আইনে অপরাধীরা ধরা পড়লেও জামিনের জন্য টাকা বা বন্ডের ব্যবস্থা না থাকায় তারা সহজেই ছাড়া পেয়ে যায় এবং আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কাউন্সিলওম্যান তার বক্তব্যে কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য তার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন। পুলিশের ভূমিকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এরকম কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তার অফিসে যোগাযোগ করার জন্য।
১০২ প্রিসেক্টের ডেপুটি কমান্ডার কেলভীন বলেন, কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য সাধ্য মত কাজ করে যাবেন। স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুরহান উদ্দীন কপিল, আনোয়ার খান, মসজিদ আল আমানের সভাপতি কবির চৌধুরী, বেকডেইজের সিইও মিছবাহ আবদীন, জারা লাইফ স্টাইল কাপড়ের দোকানের মালিক রাজু আহমদ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। সমাবেশের পূর্বে প্রতিবাদ র্যালি বিভিন্ন স্ট্রিট পদক্ষিণ করে।

নিউইয়র্ক সিটির ১১২.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা
নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং সিটি কাউন্সিল স্পিকার অ্যাড্রিয়েন অ্যাডামস গত ৩০ জুন রোববার নিউ ইয়র্ক সিটির ২০২৫ অর্থবছরের জন্য ১১২.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছে। এই বছরের বাজেট মোটামুটি গত বছরের গৃহীত বাজেটের চেয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি। এটিক নিউ ইয়র্ক শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। যদিও শহরের ব্যয় বাজেট সাধারণত সারা বছর পরিবর্তনের সাথে বৃদ্ধি পায়।
সিটি কাউন্সিল পাবলিক লাইব্রেরি, প্রারম্ভিক শৈশব শিক্ষা, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং পার্কগুলির মতো বৈচিত্র্যময় পরিষেবাগুলির বাজেট কমিয়ে আনার বিষয়ে স্পিকার অ্যাড্রিয়েন অ্যাডামসের কাছে নতি স্বীকার করেছেন।
বাজেটে প্রারম্ভিক শৈশব শিক্ষায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্পেশাল এডুকেশন প্রি-কে আসনের জন্য অপেক্ষা তালিকা হ্রাস করা। যেসকল অনথিভুক্ত শিশু এবং তাদের পরিবার দৈনিক এবং বার্ষিক শিশু যতেœর জন্য সিটি বা ফেডারেল তহবিল থেকে সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয় তাদেরকে সমর্থন করা। অপেক্ষায় থাকা ১,৭০০টিরও বেশি পরিবারের জন্য ২০২৪-২৫ স্কুল বছরে প্রি-কে এবং ৩-কে ক্লাসের জন্য আসন নিশ্চিত করা।
পাবলিক স্কুলগুলোর শিক্ষা প্রোগ্রামগুলিকে রক্ষা করার জন্য, যেমন মিডল স্কুল ছাত্রদের জন্য জন্য সামার রাইজিং এক্সটেন্ডেড ডে এবং ফ্রাইডে প্রোগ্রামিং পুনরুদ্ধার করা, কমিউনিটি স্কুল প্রোগ্রামিংকে সমর্থন করা, শিক্ষক নিয়োগের প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ এবং স্কুলে আর্ট শিক্ষার প্রসারের জন্য নতুন অর্থায়নের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাজেটে নিউ ইয়র্ক সিটির লাইব্রেরির জন্য অর্থায়নে ৫৮.৩ মিলিয়ন ডলার পুনরায় বরাদ্দ করা হয়েছে । এর ফলে শনিবার লাইব্রেরি পুনরায় খোলা থাকবে।
৫০০,০০০ নতুন বাড়ি তৈরির লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে নিউ ইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অফ হাউজিং প্রিজারভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং নিউ ইয়র্ক সিটি হাউজিং অথরিটিকে ২ বিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। সিটি হল এবং কাউন্সিল শহরের হাউজিং বাজেটে ২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধিতেও সম্মত হয়েছে, যা সাশ্রয়ী এবং সহায়ক আবাসন নির্মাণ ও সংরক্ষণের জন্য নিবেদিত।
অবশেষে, বাজেটে এইচআইভি-সম্পর্কিত প্রোগ্রামগুলির জন্য সিটির স্বাস্থ্য বিভাগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যবিধি চুক্তি পুনরুদ্ধার করে, স্বাস্থ্যসেবা দায়বদ্ধতার অফিসকে প্রসারিত করেছে। এর ফলে সহিংস অপরাধের শিকারদের জন্য বিদ্যমান ট্রমা রিকভারি সেন্টারগুলিকে সিটি আরো বেশি ফান্ড দিবে।
মেয়র অ্যাডামস বলেন, আমরা জানি নিউ ইয়র্কবাসী সমস্ত আমেরিকানদের মতো একটি ক্রয়ক্ষমতার সংকটের সাথে লড়াই করছে। তাই আজ, আমাদের শহরের ভবিষ্যতের জন্য এবং শ্রমজীবী শ্রেণীর লোকেদের জন্য বিনিয়োগ করে আমরা একটি বাজেট প্রদান করছি।
স্পিকার অ্যাডামস বলেছেন, নিউ ইয়র্কবাসীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলির জন্য তহবিল পুনরুদ্ধার এবং সুরক্ষিত করার জন্য কাউন্সিল মেয়র অ্যাডামসের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরে গর্বিত। সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন এবং বাড়ির মালিকানা, প্রাথমিক শৈশব শিক্ষা এবং সিটি উনিভার্সিটি, লাইব্রেরি এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, পার্ক এবং স্যানিটেশন, সিনিয়র পরিষেবা এবং যুব প্রোগ্রাম, মানসিক স্বাস্থ্য, এবং জননিরাপত্তা কর্মসূচিতে এই বিনিয়োগগুলি প্রতিটি সম্প্রদায়ের ও আমাদের বাসিন্দাদের সমর্থন করবে।
বাজেটে রিজার্ভে ফান্ড রেকর্ড ৮.২ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সাধারণ রিজার্ভে ১.২ বিলিয়ন ডলার, রেনি ডে ফান্ডে ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার, রিটায়ারি হেলথ বেনিফিট ট্রাস্টে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারএবং ক্যাপিটাল স্টেবিলাইজেশন রিজার্ভে ২৫০ মিলিয়ন ডলার।

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়ে নিউ ইয়র্ক গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালে বিক্ষোভ-সমাবেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়ে নিউ ইয়র্ক গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালে সমাবেশ করেন শত শত বিক্ষোভকারী। অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণের রেল স্টেশনটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে মেট্রোপলিটন পরিবহন কর্তৃপক্ষ (এমটিএ)।
প্রতিবাদী সমাবেশে দেখা গেছে, শত শত ইহুদি ধর্মালম্বী এতে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কালো টি-শার্ট পরেছিলেন। তাদের টি-শার্টে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা ছিল। যেমন, ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ ইত্যাদি।
তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দেওয়ার আহ্বানের ব্যানার। মুখে ছিল স্লোগান ‘আর কোনও অস্ত্র নয়’, ‘আর কোনও যুদ্ধ নয়’, ‘যুদ্ধবিরতি চাই’।
জিউশ ভয়েস ফর পিস (জেভিপি) নামে ইহুদিদের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এর আগে গত সপ্তাহে এই সংগঠনটি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভ করেছিল।
