শেখ হাসিনার বক্তব্য সঠিক নয়: খ্রিষ্টান দেশ, বিমান ঘাঁটি বানানোর ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: Kanak Sarwarপ্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪ এ ১২:৩৩ PM

ড. ইউনূসকে হয়রানি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ করবে: ফের সতর্কবার্তা মিলারের
বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি বানাতে "সাদা চামড়ার একজনের" প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রসঙ্গে দেশটি বলেছে, অভিযোগের ইঙ্গিত সুস্পষ্ট নয়। আর যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে একথা বলে থাকলে তা সঠিক নয়।
মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এভাবেই জবাব দেন প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে উঠে আসে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের অব্যাহত হয়রানির প্রসঙ্গ। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার হলে বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্থ হবে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন মুখপাত্র মিলার।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিবে কীনা-এ প্রশ্নের উত্তরে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানান, নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করবেননা তিনি।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান- "বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, "একটি দেশকে" বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি করতে দিলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আবারও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাদা চামড়ার একজন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা কী এসব অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ছুঁড়ছেন? কেনোনাযুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, আইনের শাসন এবং দুর্নীতি দমন নিয়ে অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে?"
জবাবে মিলার বলেন, "আমি আসলে নিশ্চিত হতে পারছিনা কাকে উদ্দেশ্য করে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলা হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো, এই অভিযোগ সঠিক নয়।"
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের এক বৈঠকে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "আমার ক্ষমতায় আসতেও অসুবিধা হবে না, যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দিই, ঘাঁটি করতে দিই- তাহলে আমার কোনো অসুবিধা নাই। কোনো এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব।" শেখ হাসিনা বলেন, "পূর্ব তিমুরের মত বাংলাদেশের একটি অংশ নিয়ে…তারপরে চট্টগ্রাম, মিয়ানমার এখানে একটা খ্রিষ্টান দেশ বানাবে, বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে।"
অপর এক প্রশ্নে এই করেসপন্ডেন্ট জানতে চান, "শান্তিতে নোবেলজয়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়্যালমেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলে ভূষিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গত রবিবার বাংলাদেশের একটি কোর্টরুমে লোহার খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করানো হয় এবংএ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, "আজ আমি অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেছি।" গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ একইভাবে তাদের অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা দেখেছি সাবেক সেনাবাহিনী এবং পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা অযোগ্য করেছে। গত বছরের ৭ জানুয়ারি জালিয়াতির নির্বাচনের পর আপনারা কী মনে করেন যে, ক্ষমতাসীন সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ঘোষিত এই পদক্ষেপগুলোই যথেষ্ট, নাকি গণতন্ত্রপ্রিয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে আপনারা অধিকতর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?"
জবাবে মুখপাত্র মিলার বলেন, "নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের মামলাকে ঘিরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তা খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি আমরা। আমার দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এই কারণে যে, ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে।"
সরকারের প্রতি ফের সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে মিলার বলেন, "আমরা এ বিষয় নিয়েও উদ্বিগ্ন যে, শ্রম এবং দুর্নীতি দমন আইনের কল্পনাপ্রসূত অপব্যবহার বাংলাদেশের আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্থ করবে। বিচার প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বারবার আহ্বান জানাই ড. ইউনূসের মামলার বিচারে যেন ন্যায় এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।"
নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রসঙ্গে মিলার জানান, নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে আগাম মন্তব্য করবেননা।
Related News

কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ার মহান স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে জামায়াত -ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের দুর্বল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোন ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সংগঠনের কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ দ্বীনকে বিজয়ী করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমাদের দাওয়াত হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে এক রব এবং রাসুলকে (সা) আমাদের নেতা মানার দাওয়াত। কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে বাংলাদেশে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান স্বপ্ন নিয়ে জামায়াত কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই কাজে একদিন সফল হব।’
সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত থানা ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির-২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দায়িত্বশীলদের অনুপ্রেরণা প্রদান করে টিমস্পিরিটের মাধ্যমে সকলকে নিয়ে সংগঠনকে আরো মজবুত করতে হবে। সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ড অর্থাৎ স্থানীয় কার্যক্রম যত বেশি শক্তিশালী হবে, সামগ্রিকভাবে মহানগরী ও কেন্দ্রীয় সংগঠন ততো সুদৃঢ় হবে। যেখানে যত বেশি বিপর্যয় এসেছে সেখানে দ্বীনের দাওয়াত আরো ব্যাপকতর হয়েছে। ফলে কোনো ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক বাঁধা দেখে ভয় পাওয়া বা হতাশ হওয়া অথবা কাজ কমিয়ে দেয়া ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য উচিৎ নয়।’
তিনি বলেন, ‘মানবজীবনের এমন কোনো সমস্যা নেই যার সমাধান ইসলামে দেয়া হয়নি। মানবজাতির জন্য সব ধরনের সমস্যার সমাধান হলো আল কুরআন। আমাদের প্রত্যেককে পবিত্র কুরআনের বিধান অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে সাজাতে হবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন বেশি বেশি কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা দরকার। একই সাথে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে। তাহলেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘যোগ্যতা যাদের আছে আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্ব তাদের হাতেই দেন। এটাই আল্লাহর বিধান। নিজেদেরকে জনগণের খেদমতের জন্য তৈরি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে আমাদেরকে সংগঠন মজবুতির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখবেন, সংগঠন মজবুত থাকলে যেকোনো সময়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব। পাশাপাশি এই সেশনে সকল বিভাগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সকল নেতাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কেউ কি অবাধে ঢুকতে পারছে? কেন ঢুকবে? ওয়েবসাইটে সব আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাকে কে বললো ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’- সাংবাদিকদের এমন উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাকে কোন নিউজে বলছে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। এসময় সাংবাদিকরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন- ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, গভর্নর কে তাহলে জিজ্ঞেস করুন, কী কারণে এই পর্যায়ে এলো এটা? এটা তো আমরা জানি না। আমরা জানি, ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ডলার ছিল? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে? ৩ বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে, এটা কী কম নাকি? রপ্তানি আয় এখন আমাদের বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের যে প্রবণতা। এগুলো বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে
পল্টন থানার নাশকতার মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গেলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব দরকার: ওবায়দুল কাদের
Advertisement
নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের বন্ধু। এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। আমরা কারও দাসত্ব করি না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী সড়কে আয়োজিত আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বিএনপি যে শত্রুতা করেছিল, তাতে লাভ হয়নি। শত্রুতার কারণে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস জন্মেছিল। শেখ হাসিনা সব সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছেন। ভারত এখন আমাদের বন্ধু।’
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা হঠাৎ চাঙা হয়ে গেছেন। এর কারণ ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারা আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। লু আসছেন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্নপূরণের জন্য নয়।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তৃতাকে ‘মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর কোথায় ছিলেন এত দিন? কোথা থেকে এলেন, কোথায় পালিয়ে ছিলেন? মাথায় তো দেখি গান্ধী টুপি। বিএনপি এখন ভণ্ডামি শুরু করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দালালি কারা করে, সেটা সবার জানা। মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নির্বাচিত হওয়ার দিন, সকালে বন্ধের দিন দূতাবাসে বিএনপির নেতারা ফুল, মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিল। তাহলে দালাল কারা? খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানিবণ্টনের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। দেশে ফেরার পর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি তিনি নাকি ভুলেই গিয়েছিলেন। তাহলে দালাল কারা?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দেখলাম, তারা হাসিখুসি। ভারতের আপ্যায়নে, ডিনার খেয়ে বিএনপি নেতারা হাসিখুশি ছিল। ক্ষমতার স্বপ্নেও বিভোর ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তো ৪২ শতাংশ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় বসিয়েছে। তিনি বলেন, এখন বিএনপি বলছে, জনগণ উপজেলা নির্বাচন নাকি প্রত্যাহার করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার, যারা ভোট দিল, তারা কারা? আসলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সততায়, উন্নয়নে এবং অর্জনে মুগ্ধ। তাই দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই বেছে নিচ্ছে৷’
বিএনপি নানা সময় নানা নাটক করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসময় জজ মিয়ার নাটক করল, নির্বাচনের আগে করল মিয়া আরেফির নাটক। তিনি বলেন, আবারও বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে। জনগণের জানমাল সুরক্ষায়, অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে। প্রস্তুত থাকেন, এমন শিক্ষা দেব, পালাতে পালাতে অলিগিলি পার হয়ে বুড়িগঙ্গার পচা পানি খাবে।
বর্তমানে বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে দেশে চলমান কিছু সাময়িক সংকট দ্রুত কেটে যাবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান প্রমুখ।
